বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৯৯৯-এর তথ্য ফাঁস: তদন্ত চলছে এসআইয়ের বিরুদ্ধে

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২১ ২০:৩৩

সাহায্যের বদলে পুলিশের এসআই  জাহাঙ্গীর হোসেন আগেই সন্ত্রাসীদের কাছে তথ্য জানিয়ে দেয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ করেন এই সাবেক সেনাসদস্য।

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে তথ্য দেয়ায় এক সেনাসদস্যের ওপর হামলা চালানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এসআই জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।

গত রোববার তাকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এদিকে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার সাবেক সেনাসদস্য আসাদুল হকের করা মামলায় এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

সেনা সদস্য আসাদুল হকের বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদাহ এলাকার ফয়জুল্লাপুর গ্রামে।

পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে আসাদুল হক উল্লেখ করেছেন, গত শুক্রবার সকালে তার বাড়ির পাশে পদ্মা নদীতে গুলির শব্দ পেয়ে বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে জানান।

ওই সেবা থেকে তার সঙ্গে ভেড়ামারা থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হয়। ঘটনাস্থল ভেড়ামারা থানার কুচিয়ামোড়া পুলিশ ক্যাম্পের আওতায় হবার কারণে ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন।

এর ঘণ্টা তিনেক পর, দুপুর ১টার দিকে এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন তাকে ফোন দেন এবং বলেন ‘তুই ফাজলামি করিস, আমি খবর নিয়ে দেখেছি এলাকায় কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

এর কয়েক মিনিটের মধ্যে আটজন যুবক তার বাসায় প্রবেশ করে তাকে গালাগালি করে। রামদা দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপায় এবং পুলিশকে খবর দিয়েছিস বলে গালি দেয়। আসাদুলের চিৎকার শুনে পাশেই মাঠে কাজ করা কয়েকজন কৃষক ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। ওই দিনই আহত আসাদুলকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শনিবার তিনি ঘটনার বিবরণসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। সাহায্যের বদলে পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন আগেই সন্ত্রাসীদের কাছে তথ্য জানিয়ে দেয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ করেন এই সাবেক সেনাসদস্য।

রোববার সকালে ওই অভিযোগটি ভেড়ামারা থানায় মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

ভেড়ামারা থানার ওসি শাহাজালাল বলেন, আসামিদের এখনো ধরা যায়নি। তারা বাড়িতে থাকে না, নদীর চরে চরে থাকছে।

এদিকে কুচিয়ামোড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই জাহাঙ্গীর হোসেনকে রোববারই কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেছেন, লিখিত আদেশ দিয়েই তাকে ক্লোজ করা হয়েছে। এখন তিনি সে অবস্থাতেই আছেন। ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি বিভাগীয় কমিটি করা হয়েছে। তারা সুনির্দিষ্ট মতামত দেবেন, তার ভিত্তিতেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, কমিটিতে কারা আছেন, কবে প্রতিবেদন দেবেন? জানতে চাইলে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানাতে চাননি।

এদিকে ভেড়ামারা থানার কুচিয়ামোড়া পুলিশ ক্যাম্প থেকে এসআই জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রত্যাহার করা হলেও এখনো সেখানে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। ভেড়ামারা থানার ওসি শাহাজালাল বলেছেন, সেকেন্ড ম্যান এএসআই মফিজুর রহমান দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর